Tuesday, April 12, 2011

অবশেষে টুইটারবাসীদের প্রানের দাবী ''বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী জামায়াতে টুইটারলীগ'' গঠিত হলো

সম্প্রতি টুইটারবাসীদের দীর্ঘদিনের প্রানের দাবী ''বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী জামায়াতে টুইটারলীগ'' গঠিত হয়েছে। খবর পলাশনিউজ৪২০ ডটকম এর।

টুইটার মূলত একটি মাইক্রোব্লগিং সাইট হলেও এর কার্যক্রম এখন আর কেবল মাইক্রোব্লগিং এর মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। স্বাধীনতাউত্তর বাংলাদেশে মননশীল যুবসমাজ গড়ে তুলতে এই প্রতিষ্ঠানটি বরাবরই অগ্রনী ভূমিকা রেখে এসেছে। বিশেষ করে বিগত প্রায় এক বছরেরও অধিককাল ধরে এই প্রতিষ্ঠানটি অক্লান্তভাবে দেশের যুবসমাজের সুশিক্ষালাভ ও চরিত্রগঠনে মদদ যুগিয়ে আসছে।
টুইটারের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে এদেশের আপামর জনগন প্রথম সম্যক ধারনা লাভ করে ''দৈনিক আলুকন্ঠ'' পত্রিকার মাধ্যমে। দৈনিক আলুকন্ঠের সদাজাগ্রত  সাংবাদিকেরা বিবিধ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক তারকাদের টুইটগুলোকে তাদের বিনোদন পাতায় আকর্ষনীয়ভাবে রিটুইট করে এসব তারকাদের অন্দরমহলের খবরাখবর পাঠকদের জানাতে থাকে।আলুকন্ঠের মতে, এসব তারকাদের অন্দরমহল ও অন্তর্বাসের খবর জানতেই মুলত দেশের যুবসমাজ টুইটারের দিকে ঝুঁকে পরে।

প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই বিভিন্ন সময়ে টুইটারবাসীরা সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়ে আসছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরনের জন্য কতিপয় প্রভাবশালী টুইটারবাসী মিলে গঠন করেছেন  ''বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী জামায়াতে টুইটারলীগ''।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী জামায়াতে টুইটারলীগের প্রতিষ্ঠায় সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন @sifat2188.

পার্টি গঠন ও পার্টির ভবিষ্যত কার্যকলাপ সম্পর্কে পার্টির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন @aminulahsan বলেন, "বাংলাদেশের টুইটারবাসীদের অধিকাংশই নোকিয়া কর্তৃক প্রস্তুতকৃত সিম্বিয়ান সেট ব্যবহার করে থাকেন। এই সেটে একটি সুন্দর আবেদন (এপ্লিকেশন) রয়েছে যার নাম গ্র্যাভিটি। কিন্তু স্বৈরাচারী ও তারুন্যের সাথে প্রবঞ্চনাকারী নোকিয়া প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা ২০১১ সালের পর আর সিম্বিয়ান সেট প্রস্তুত করবেনা। এমতাবস্থায় নোকিয়া প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোই আমাদের সংগঠনের মূল লক্ষ্য।" এছাড়াও তিনি এ প্রতিবেদককে "ভিশন-২০১২" সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি বলেন, ২০১২ সালের মধ্যেই বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে একটি করে স্মার্টফোন পৌঁছে দেয়েই "ভিশন-২০১২" এর মূল লক্ষ্য। কি করে এটা সম্ভব জানতে চাইলে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন : "You GK"

পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব জনাব @sifat2188 বলেন " বাংলাদেশের যুবসমাজ আজ বড় অসহায়। তাদেরকে বাপের পকেট থেকে টাকা চুরি করে টুইট করতে হয়। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে অভিবাবকদের কড়া নজরদারির ফলে অনেকের টুইট করতে গিয়ে "G" বের হয়ে পড়ে।" এই অবস্থার নিরসন করাই পার্টির মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।


পার্টির একজন সিনিয়র সদস্য @merunzপার্টির অস্তিত্ব সম্পর্কেই নিজের অজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন : ''  আ''মি'' এই পার্টিতে? কোন বেত্ত"মি"জ এই পার্টি গঠন করেছে? এই ফাজলা"মি"র মানে কি? এই ইতরা"মি"র শেষ কোথায়? আ"মি" এধরনের নখরা"মি"র বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাই। ভবিষ্যতে মেনশন না করে যেন "আমা''কে কোন পার্টিতে অন্তর্ভুক্ত না করা হয়।" পার্টির লক্ষ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন "আমি কি করে জানব? কেউ কি আমাকে মেনশন করে পার্টির লক্ষ্যের বিষয়টি জানিয়েছে?সবকয়টা হারা"মি""

পার্টির আরেকজন সিনিয়র সদস্য @naserjoy বলেন "আমাদের জীবনে দুঃখ কষ্টের কোন সীমা নেই। আজ এ অসুস্থ, তো কাল সে অসুস্থ... আস্তে আস্তে মনে হয় সারা দুনিয়াটাই অসুস্থ হয়ে পরবে। মনটা ভালো নাইরে ভাই।" পার্টির লক্ষ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেনঃ "কিছু অর্বাচীন টুইটারবাসী আছেন, যারা  কাওকে কনভার্সেশন করতে দেখলেই ঘেউ ঘেউ করে উঠে। এদের "ঘেউ ঘেউ" কে "কেউ কেউ" তে রুপান্তরিত করাই হবে পার্টির মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।" 


এ ব্যাপারে পার্টির সামাজিক যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক @Rony8754 বলেনঃ "মানব সমাজ আজ বড়ই যান্ত্রিক হয়ে পড়েছে। এমনকি টুইটারেও লোকজন নিজেদের মতো টুইট করে চলে যায়, কেউ কারো খোঁজ খবর রাখেনা। এই অবস্থার আশু উন্নতি প্রয়োজন। আমরা ক্ষমতায় গেলে প্রত্যেক টুইটারবাসীকে দিনে অন্তত একবার একে অন্যকে মেনশন করা ও মাসে অন্তত একবার একে অপরের সাথে দেখা করা বাধ্যতামূলক করবো।" এছাড়াও তিনি টুইটারে "Running Conversation" নামে একটি বাটন যোগ করার দাবী টুইটার প্রশাসন বরাবর পেশ করবেন বলে জানান।

পার্টির আরেকজন সদস্য @_sabik_ টুইটারবাসীদের মানসিক দক্ষতা বাড়ানোর উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।তিনি বলেন, "আমাদের মনের ভেতরে অনেক কথা থাকলেও আমরা অনেক সময় সঠিক প্রশিক্ষন ও মানসিক দক্ষতার অভাবে সবকিছু প্রকাশ করতে পারিনা। *SMH* *SMH*." তার কাছে পার্টির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চাইলেও তিনি ১৪০ অক্ষরের সীমা অতিক্রম করে যাওয়ার ভয়ে আর কথা বলতে রাজি হননি।

পার্টির সুইডেন প্রতিনিধি @iftekharinan বলেন " ইন্টারনেটের গতি ও টুইট পোস্ট হওয়া, এই দুটি ব্যাপারের মধ্যে সম্পর্ক সাপে-নেউলে।বলা যায় এ দুটি ব্যাপার পরস্পর ব্যাস্তানুপাতিক। ফলশ্রুতিতে দেখা যায় আমি সুইডেনে বসে দিনে ২০ টিরও বেশি টুইট করলেও আমার ইন্টারনেটের উচ্চগতির দরুন আমার বাংলাদেশী ফলোয়ারদের কাছে টুইটগুলো পৌঁছায় কমপক্ষে ১০ দিন পরে। তারচেয়েও আশঙ্কাজনক ব্যাপার হলো, এই ২০টি টুইটের মধ্যে ১৮টিই হারিয়ে যায়, পৌঁছায় কেবল দুটি। তাই আমরা ক্ষমতায় গেলে হতভাগা সুইডিশদের জন্য নিন্মগতির ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করবো।"

পার্টির একজন জুনিয়র সদস্য @Saimun_ টুইটারে মান নিয়ন্ত্রনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন "৭ দিন পরে টুইটারে এসে যদি কোন টুইট না পেয়ে আজাইরা প্যাচাল পাই তাহলে কার না মেজাজ খারাপ হয় বলুন?" টুইটারে মান নিয়ন্ত্রন আরোপ এবং অযোগ্য ও অক্ষম টুইপলদের টুইটার থেকে অপসারন করাই পার্টির মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এ বিষয়ে পার্টির আইন বিষয়ক সম্পাদক @himurubel বলেনঃ " আমারে না জানাইয়াই পার্টির মধ্যে ঢুকায়া দিসেন ক্যা? আরে মিয়া পার্টিডা ৫ মিনিট পরে করলে কি হইত? আমি ততক্ষনে বাংলাদেশের খেলা দেইখ্যা আইয়া পরতাম। এহন আমারে বানাইসে আইন সম্পাদক। পার্টি কোন আইনি ঝামেলায় পড়লে আমি নাই"।

পার্টির পজিশন সম্পাদক @maks_karim কে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন "ভাই বিশ্বাস করবেন না, ফোরস্কয়ার নামে এমন একটা কুজাইত্যা একটা জিনিস আছে, যেইটা আমি হাগতে বসলেও আমারে শান্তি দেয় না। খালি জিগায় "আপনে কই? আপনে কই? আপনে কই?"। আমরা ক্ষমতায় গেলে এদেরকে কঠিনভাবে দমন করবো।" টুইটারের সাথে ফোরস্কয়ারের সম্পর্ক জানতে চাইলে তিনি সাথে সাথে ফোরস্কয়ারের মাধ্যমে টুইট করেনঃ "I'm now with a বলদ"

সম্প্রতি পার্টিতে যোগ দেয়া @babun_ বলেন "এই স্বৈরাচারী স্ত্রৈন পার্টিতে আমি থাকবোনা। এই পার্টির সব কয়ডা নেতা বউয়ের আচল ধৈরা ঘুরাফিরা করে। আমি বিরোধী দলে যোগ দিমু"। পার্টির লক্ষ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেনঃ "পার্টির লক্ষ্য কি তা কৈতে পারিনা, তয় আমার লক্ষ্য হৈল সবকয়ডারে লুঙ্গি পিন্দায়া পাবনা পাডায়া দিমু।"

পার্টির ফেসবুক বিষয়ক সম্পাদক @mashrukahsan বলেন... "ভাই কি আর কমু মনের দুঃখ। কি ফেসবুক কি টুইটার, কোন খানেই কোন মাইয়ার কাছে বেইল পাইলাম না। ফেসবুকেও কুনদিন কোন মাইয়া ফ্রেন্ড রিকুয়েস পাঠাইলো না, টুইটারেও কোন মাইয়া আমারে আগে ফলো করলনা।শেষ চেষ্টা হিসেবে টুইটার থেইকা চীনা জোক্স কপি কৈরা ফেসবুকে দিলাম, তাতেও কাম হৈলনা। ফেসবুক সাক্স !!!"। 

পার্টির প্রতিষ্ঠাকালীন সময়কার সদস্য ও বর্তমানে পার্টি থেকে বহিস্কৃত @Bangal বলেনঃ "ভাইসব, আমি বর্তমানে ফেসবুকে মেয়েলুকের বন্ধুত্বের আবেদন সামলাইতে ব্যস্ত আছি। টুইট করার টাইম নাই"। পার্টির লক্ষ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেনঃ " ধুর মিয়া, রাস্তা মাপেন। ফেসবুক চ্যাটে তিনটা মাইয়ালোকরে সামলাইতে হিমসিম খাইতেছি... "

পার্টির আরেকজন বহিস্কৃত সদস্য জনাব ****(নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেনঃ "এই টুইটার আমার স্বপ্নের নায়িকা প্রভার ইজ্জত হরন করেছে। এদের সবাইকে আমি দেখে নেব। এরা সবকয়টা পাকি হাইব্রিড ছাগু। সবকয়ডা ছাগু। সবকয়ডা ছাগু।"


এ ব্যাপারে একজন সাধারন টুইপল  @oyeshorjosite এর মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেনঃ "ভাইরে, পৃথিবীতে কেউ কারো বন্ধু নয়। কি ফেসবুক, কি টুইটার, কোথাও আমার কোন বন্ধু নেই। আজকে আপনি আমার ইন্টারভিউ নিচ্ছেন, কালকেই আপনার সাথে কোন সম্পর্ক থাকবেনা। টুইটারে অনেকেই আমাকে মেনশন করে, কিন্তু কেউই আসলে আমার বন্ধু না। কালকেই এরা আমাকে আনফলু করে দেবে। পৃথিবীতে আমার কোন বন্ধু নেই। সবাই স্বার্থপর"

এবারে আসা যাক টুইটারের নারী সম্প্রদায়ের মতামত।
পার্টির নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদিকা @aurpitabd বলেন "এরা যে কি টুইট করে কিছুই বুঝলাম না। আমি দুইদিন ধরে টুইট করেই দুই হাজারের উপরে টুইট কৈরা ফেললাম। আর এরা দুই বছর ধৈরা টুইট কৈরাও একেকজনের টুইটসংখ্যা ৫০০০, ৬০০০, ৭০০০। আমার ক্লাস ওয়ানের ছাত্রীও তো দুই বছরে এর চেয়ে বেশী টুইট করতে পারবে !!" গ্রুপের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেনঃ "টুইটার অচিরেই শিক্ষক সমাজে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করবে। যেমন আমি প্রতিদিন A-Z পর্যন্ত অক্ষর সম্বলিত কিছু টুইট করে নিয়ে আসি, তারপরে সেগুলো আমার ছাত্রছাত্রীদের দিয়ে রিটুইট করাই। এতে করে এক ঢিলে তিন পাখি মরে। একঃ আমার টুইট করা হয়ে যায়, দুইঃ আমার টুইটগুলো টপটুইটগুলোর চেয়েও বেশি রিটুইট পায়, তিনঃ আমার ছাত্রছাত্রীদের A-Z পর্যন্ত অক্ষর শেখা হয়ে যায় !!!" শিক্ষাবিস্তারে টুইটারের এই অবিস্মরনীয় ভূমিকা সম্পর্কে সমাজ-সচেতনতা তৈরি করাই পার্টির মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

পার্টির আরেকজন নারী সদস্য @bandhan1983 বলেনঃ " কে বলেছে ব্রিটেন উন্নত দেশ? আপনি কি জানেন একটি মাত্র টুইট করার জন্য আমাকে কয়  মাইল হাঁটতে হয়? থাকেন তো বাংলাদেশে ... ব্রিটেনে থাকলে বুঝতেন, টুইট সংগ্রাম কি জিনিস। টুইট করার জন্য দৌড়াদৌড়ি করতে করতে আজ আমি শয্যাশায়ী।" তিনি বলেন " আমরা ক্ষমতায় গেলে প্রত্যেক টুইপল যেন নিজ নিজ জায়গায় অবস্থান করে যত ইচ্ছা টুইট করতে পারে, সেই ব্যবস্থা করবো।" সেটা কিভাবে করা সম্ভব সে প্রশ্নের উত্তর আর তার কাছ থেকে জানা সম্ভব হয়নি, কারন ইতিমধ্যেই সংযোগ কেটে গিয়েছে।

আরেকজন নারী টুইটারবাসী @megh99 বলেনঃ " Who এই পার্টি গঠন করেছে? এই গ্রুপ What চায়? এরা আমাকে আগে জানায় নাই Why? " বাংলিশ ভাষাকে শিল্পের পর্যায়ে উন্নীত করাই টুইটারের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন নারী টুইটারবাসীকে পার্টি গঠনের খবরটি দিলে তিনি বিশ্বাসই করতে চাননি। তিনি বলেন "কই? আমার রেতিক রসুন তো কোন টুইট করেনি এ ব্যাপারে... আপনি কোত্থেকে খবর পেলেন? রসুন আমাকে না জানিয়েই পার্টি করে ফেলল? অবশ্য আমার রসুন আমাকে সারপ্রাইজ দেয়ার জন্যও এরকম করতে পারে (বলে তিনি মিটিমিটি হাসছিলেন... তার মুখে ফুটে উঠছিল রসুনের প্রভা)"। প্রতিবেদক যখন তাকে বুঝাতে সক্ষম হন পার্টি রসুনের করা নয়, তখন তিনি তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেন। তিনি বলেন "ভাগো হিঁয়াসে... স্কাউন্ড্রেল... রাস্কেল... তুম থোড়া শয়তান হু!!!!"

এ ব্যাপারে টুইটারসমাজের বিশিষ্ট ডাক্তার(ইনিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন "ওয়েল, টুইটার যে আমাদের জীবনে কতবড় ভূমিকা রেখে চলেছে, সেটা যারা টুইটার ব্যবহার করেনি, তারা কোনদিন বুঝতে পারবেনা। যেমন ধরুন, আয়ারল্যান্ড বনাম বাংলাদেশ বিশ্বকাপ ম্যাচের কথা। এই ম্যাচে শফিউলের বলে কেভিন ও'ব্রায়েন যখন লং অফে শটটি নিলেন, অমনি কাভার অঞ্চল থেকে আশরাফুল তামিম ইকবালকে মেনশন করে ( আশরাফুল আবার বুদ্ধি করে টুইটের সাথে GEO Tagলাগিয়ে দিয়েছিলেন) সম্ভাব্য ক্যাচের কথা জানিয়ে দিলেন।বাকীটুকু তো আপনারা ভালোমতোই জানেন।
পার্টির লক্ষ্য কি হওয়া উচিত সে প্রসঙ্গে তিনি বলেনঃ " n-h-sharja.blogspot.com ব্লগ পড়া।" পার্টির উদ্দেশ্য কি হওয়া উচিত সে প্রসঙ্গে তিনি বলেনঃ "drsarja.wordpress.com এই ব্লগ পড়া"।

পাঠক, আপনারা পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছেন, পার্টির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে কেউ একমত হতে পারছেন না। এরা কিভাবে একটি পার্টি চালাবেন, যখন এমনকি পার্টির লক্ষ্য ও উদ্দেশের প্রশ্নেই সবাই একমত না?
এ ব্যাপারে মতামত জানতে চাইলে পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন @aminulahsan বলেনঃ "আমার স্বয়নে নোকিয়া, স্বপনে নোকিয়া, উঠনে নোকিয়া, বসনে নোকিয়া... পার্টির যেসব সদস্য অন্য কোন লক্ষ্য বা উদ্দেশ্যের কথা বলছেন, আপনার মাধ্যমে তাদের সবাইকে জানিয়ে দিচ্ছিঃ কাওকে আনফলু করতে @aminulahsan এর এক ক্লিকের বেশি শক্তি খরচ করতে হয়না।"

দুনিয়াজুড়ে সবাই যখন আপেল বা গুগলকে তাদের স্মার্টফোনের পছন্দের তালিকায় এক নম্বরে রাখছেন, তখন তিনি কেন নোকিয়া নিয়ে পড়ে আছেন, এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেনঃ "You dumb..... আপনাকে একটা বাস্তব উদাহরন দিয়ে বুঝাই। আমার কাছে আপেল, গুগল, নোকিয়া তিন কোম্পানিরই স্মার্টফোন আছে। একদিন আমি করলাম কি, টয়লেটে যাওয়ার সময় তিনটা ফোন নিয়েই ঢুকলাম। তো হাই কমোডে বসে এক হাতে গুগল, আরেক হাতে নোকিয়া, আর মুখে আপেল সেট নিয়ে তিনটি সেট থেকেই একযোগে একটি টেস্ট টুইট করলাম। আপেল সেট থেকে আমাকে বলা হলো, "আপনার টুইটটির জন্য ধন্যবাদ।তবে আমাদের সম্পাদকীয় নীতি বিরোধী হওয়ায় আপনার টুইটটি ডিলিট করে দেয়া হলো"। আর গুগল সেট থেকে আমাকে বলা হলো "আপনি যে টুইটটি দিয়েছেন, সেটি দিয়ে খোঁজাখোঁজি করে একটি সাইটও পাওয়া যায়নি, এই খোঁজাখোঁজি করতে গুগলের সময় লেগেছে মাত্র ০.০০০২৭ সেকেন্ড"। ওদিকে নোকিয়া দিয়ে যে টুইটটি করেছিলাম, আমি হাতমুখ ধুয়ে বাইরে এসে দেখি সেটি আমার ফলোয়ারদের কাছে পৌঁছে গেছে। এবার বুঝতে পেরেছেন তো, কেন নোকিয়া সেরা??"
তিনি বলেন, "এরপরও যদি কেউ গ্রুপের লক্ষ্য বা উদ্দেশ্যের সাথে একমত না হয়, তাহলে সে TGK "।



(এই রিপোর্টটি সম্পূর্নরূপে রেজিষ্টার্ড । কেউ এই রিপোর্ট পুরোপুরি বা আংশিকভাবে কপি করলে তাকে হাইকোর্ট মোড়ে ২৪ ঘন্টা নীল ডাউন করে দাঁড় করিয়ে রাখা হবে।)

8 comments:

  1. ভাইরে ভাই! হাসি থামাইতে পারতাসিনা। আপনে একখান ইউনিক চিজ! :P

    ReplyDelete
  2. akhhorik orthe haste haste goragori.. =))

    ReplyDelete
  3. @nuhel.. @merun vai.. @inan vai... Thanks.... :-)
    Agami dinguloteo party'r karjokrom obbahoto rakhar ashabad bakto korchi :-))

    ReplyDelete
  4. ভাই, আমি এর ২য় পর্ব লিখতে চাই, যদি আপনার আপত্তি না থাকে...

    ReplyDelete
  5. আমার এখন ও পিসি দিয়াই টুটানি লাগে... :( টুটানির লেইগা সবাইকে একটা কইরা সিম্বিয়ান ফুন দেওয়ার কোন ধারা না থাকায় আমি এই কমিটির তেব্র প্রতিবাদ জানাই...
    বত্ব ভাই সিরাম লিখছেন... :D

    ReplyDelete